Friday, December 16, 2016

প্রচলিত ঘুষ ও হাদিয়ার বিধিবিধান

দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজের বিনিময়ে (পারিশ্রমিক/বেতনভাতাদি ছাড়া) যে অর্থ গ্রহণ করা হয়, তা-ই ঘুষ। এটা বকশিশ, হাদিয়া ইত্যাদি যে নামেই হোক।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কে অভিসম্পাত দিয়েছেন। ’ (আবু দাউদ)
দাপ্তরিক কাজ যথাসময়ে করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অথবা কারো কাছে সুপারিশ করার বিনিময়ে কোনো নগদ দ্রব্য গ্রহণ করাও ঘুষের পর্যায়ে পড়ে। কোনো কর্মকর্তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, অফিসে, কল-কারখানায় পরিদর্শনে গেলে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাকে আপ্যায়নসহ বিভিন্ন দ্রব্য, এমনকি নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করা হয়। এই নগদ অর্থ গ্রহণ করাকেই সমাজে ঘুষ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু নগদ অর্থ ছাড়া দ্রব্যাদি গ্রহণ করা, আপ্যায়ন গ্রহণ করাকে ঘুষ বলে গণ্য করা হয় না, বরং সেটিকে হাদিয়া বা তোহফা হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু এগুলোও ঘুষের পর্যায়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.) লিখেছেন, ‘হাদিয়া ও রেশওয়াত বা ঘুষ দেখতে প্রায় এক রকম দেখায়। সাধারণত যারা ঘুষ দেয়, তারা ওটাকে তোহফা, নজরানা, ডালি বা ভালোবাসার নিদর্শন বলে প্রকাশ করতে চায়। তারা এ রকম বলে, পান খেতে দিলাম, ছেলেকে-মাকে মিঠাই বা নাশতা খাওয়ার জন্য দিলাম ইত্যাদি। তাই হাদিয়া ও রেশওয়াত বা ঘুষের পার্থক্য সাধারণ লোকেরা  বোঝে না। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে আসমান-জমিন পার্থক্য। প্রথম বড় পার্থক্য এই যে হাদিয়া দেওয়ার নিয়তের মধ্যে আল্লাহর ওয়াস্তে মহব্বত ছাড়া দুনিয়ার স্বার্থ বা কোনো রকম সাহায্য পাওয়ার আশা থাকে না। পক্ষান্তরে ঘুষ দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে কিছু স্বার্থ হাসিল করা এবং সাহায্য বা সুবিধা পাওয়া। দ্বিতীয় পার্থক্য এই যে রাষ্ট্র জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স বসিয়ে টাকা আদায় করে জনগণেরই খেদমত করার জন্য বেতন দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করে। এসব বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর ওয়াজিব হলো, যে কাজের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে, সে কাজ তাকে করে দেওয়া। এর বিনিময়ে উপরি কিছু গ্রহণ করতে পারবে না। তাদের কষ্ট দিতে পারবে না। সবাইকে সমান চোখে দেখে নিঃস্বার্থ ও নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করে দিতে হবে। ওই বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি তাদের নিজ নিজ এলাকায় জনগণের কাছ থেকে উপহার নেয়, জনগণের বাড়িতে দাওয়াত খায়, জনগণের কাছ থেকে কোনো হাদিয়া, তোহফা গ্রহণ করে বা তাদের ছেলেমেয়ে বা স্ত্রীর জন্য মিষ্টি বা নাশতা খাবার গ্রহণ করে, তবে তার সবই ঘুষ হবে। হারাম হবে। আমানতের খেয়ানত হবে। গোনাহে কবিরা হবে। ’ (বেহেশতি জেওর-পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪০৮)
ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে হালাল রুজি। এ জন্য প্রত্যেক মুসলমানের পক্ষে হালাল রুজি অন্বেষণ করা ফরজ। রাসুলে করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল রুজি দ্বারা তার পরিবার প্রতিপালনের চেষ্টা করে থাকে, সে আল্লাহর পথে যোদ্ধার মতো। যে ব্যক্তি নিজেকে সংযত রেখে দুনিয়ায় হালাল রুজি অন্বেষণ করে, সে শহীদদের পদমর্যাদায় অবস্থিত। তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন ধরে হালাল দ্রব্য ভক্ষণ করে, আল্লাহ তার হৃদয়কে জ্যোতির্ময় করেন এবং তার অন্তর থেকে তার মারফতে হেকমতের ফোয়ারা প্রবাহিত করে দেন। (ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন, হালাল-হারাম অধ্যায়, পৃষ্ঠা-২৬৮)
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ আল্লাহর রাস্তায় দান করলেও এর কোনো মূল্য নেই। এ সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি হারাম ধন-সম্পদ উপার্জন করে তা থেকে দান করলে তা কখনো কবুল করা হয় না এবং তার জন্য সে মাল বরকতপূর্ণও হয় না। তার পরিত্যক্ত হারাম ধন-সম্পদ তার জন্য জাহান্নামের পাথেয় ছাড়া আর কিছুই হয় না। অর্থাৎ এর দ্বারা পরকালীন কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করা যায় না। আল্লাহ তাআলার চিরন্তন নিয়ম এই যে তিনি কখনো মন্দ দ্বারা মন্দ দূরীভূত করেন না। বরং তিনি ভালো দ্বারা মন্দকে অপনোদন বা দূরীভূত করেন। নাপাক, নাপাক বা নোংরা বস্তুকে দূরীভূত করে পবিত্র-পরিচ্ছন্ন করতে পারে না।
হালাল উপার্জিত অর্থ থেকে কাউকে দান করে বা কর্জে হাসানা দিয়ে তার বিনিময়ে কিছুই গ্রহণ করা যাবে না। অন্য হাদিসে হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, অতিসত্বর এমন এক জমানা আসবে, যখন মানুষ এ কথায় ভ্রুক্ষেপ করবে না যে এটা হালাল না হারাম মালের। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কাউকে ঋণ (কর্জ) দেয়, আর গ্রহীতা যদি তাকে কোনো তোহফা দেয় কিংবা যানবাহনে আরোহণ করতে বলে, তখন সে যেন তার তোহফা কবুল না করে এবং তার সওয়ারিতেও আরোহণ না করে। অবশ্য আগে থেকে যদি উভয়ের মধ্যে এরূপ লেনদেনের দ্বারা চলে আসে, তবে তা ভিন্ন কথা। ’ (ইবনে মাজাহ)
ইমাম গাযালি (রহ.) বলেন, বিনা চাওয়া বা যাচনায় যা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনটি দিক লক্ষণীয়। এক. সম্পদ। দুই. দাতার উদ্দেশ্য। তিন. গ্রহীতার উদ্দেশ্য। অর্থাৎ এটা দেখতে হবে যে মাল হালাল না হারাম। দ্বিতীয়ত, দাতার উদ্দেশ্য দেখা—কোন উদ্দেশ্যে বা নিয়তে দিচ্ছেন। হাদিয়া, না অন্য কোনো যশ বা অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু যদি হাদিয়ার দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশ্য হয়, তবে তা গ্রহণ করা সুন্নত। যদি দানের প্রতিদান চাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে সে হাদিয়া ফেরত দেওয়াই উত্তম। হাদিয়া কবুল করার ব্যাপারে খুব লক্ষ করতে হবে যে দাতার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না, যেমন—কর্জের সুরতে যদি এ উদ্দেশ্য হয় যে হাদিয়া দিলে কর্জের ব্যাপারে আর তাগাদা করবে না, এ উদ্দেশ্যের কারণে তা সুদের সঙ্গে ঘুষও হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে মা-বাবা, ওস্তাদ, পীর-মাশায়েখ যাদের অনুগ্রহ শোধ করা যায় না, যারা ইসলামী শিক্ষা দান করেন, কোরআন-হাদিস পড়িয়ে, সত্য প্রচার করে ইসলাম ধর্মকে চিরজীবিত করে রেখেছেন। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যখন এঁদের কারো জন্য কোনো বেতন নেই, তখন তাঁদের দান করে কোনো কাজ উদ্ধার করে নেওয়ার আশা নেই। কাজেই তাঁদের হাদিয়া-তোহফা দেওয়া ঘুষ নয়। বরং অতি বড় পুণ্যের কাজ। কেননা তাঁদের যা কিছু দান করা হয়, তা শুধু এক আল্লাহর মহব্বতে দান করা হয়। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দান করা হয় না। (বেহেশতি জেওর, পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৮)
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের হাদিয়া বা তোহফা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শুধু শরিয়তের দৃষ্টিতে যা গ্রহণযোগ্য, তা-ই যেন আমরা গ্রহণ করি। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে যা গ্রহণ করা যাবে না, আখিরাতকে সামনে রেখে তা থেকে আমরা যেন দূরে থাকি। সৎ ব্যক্তিদের প্রতিটি পদক্ষেপে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

মো. আবদুন নূর

সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা


গিনেজ বুকে নাম লেখানোর অপেক্ষায় বিজয় দিবসের সাইক্লিং

Wednesday, December 14, 2016

রামপাল বিদ্যুৎ অভিশাপ না আশীর্বাদ

রামপাল বিদ্যুৎ অভিশাপ না আশীর্বাদ


রামপাল বিদ্যুৎ অভিশাপ না আশীর্বাদ


রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

সত্যি সত্যি কী সুন্দরবন ও সুন্দরবনের বিশাল প্রানী সম্পদ, উদ্ভিদ সম্পদ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে যাবে? 
উন্নয়নের অন্নতম শর্ত হল বিদ্যুৎ। যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে উন্নয়ন আশাই করা জায় না। 
গ্লোবাল পৃথিবীর সাতে তাল মিলিয়ে তথা সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি নিয়ে আলোচনাই আজকের বিষয় ।

সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়, যদি না আপনি সুন্দরবন নামটি প্রথম শুনে থাকেন। সুন্দরবন বিপুল সম্পদের সমাহার।
বিভিন্ন রকমের প্রাণী যেমন- হরিণ, বানর, নদীচর কচ্ছপ, বিভিন্ন জাতের সাপ, নোনা পানির কুমির এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ।
ভাবছেন সুন্দর বনের প্রধান আকর্ষণটি মিস করে গেলাম? না। আমাদের দেশের জাতীয় পশুর একমাত্র বাসস্থান হচ্ছে এই সুন্দরবন। যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার নামে পৃথিবী খ্যাত ।
কিন্তু এই বাসস্থান যদি নষ্ট হয় তাহলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কী আমাদের গ্রাম্য এলাকায় হবে। সেটাই চিন্তার বিষয়।
এমন দিন যেন আমাদের দেখতে না হয় যে গ্রামের লোকজন বাঘের ভয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। ছোট বেলায় আমাদের দাদা,দাদুদের কাছে শুনা গল্প যেন আজ সত্যি না হয়।
সেই ভয় আমাদের দেশের জন্যই হউক অথবা ভারতের সীমান্ত গ্রাম গুলোতেই হওয়ার আশংকা কিন্তু থেকেই যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ধরণের প্রাণীজ সম্পদের উপযুক্ত পরিবেশ ও মাটি হচ্ছে এই সুন্দরবন।
বর্তমানে বিশ্ব প্রযুক্তি এবং প্রতিযোগিতার সাথে তাল মিলিয়ে ও এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে প্রথম কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প।
এই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্যযে সীমানা বা আকার টিক হয়েছে তা বাংলাদেশের প্রাণ সুন্দরবনের পাশেই।

দেখা যায় যে, বর্তমানে এই দেশে প্রতি বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪.৫০০ মেগা ওয়াট। দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠী মধ্যে ৭৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে। এই অপরিপূর্ণ ঘাটতি মেটানোর লক্ষে বাংলাদেশ সরকার রামপাল বিদ্যুৎ চুক্তি হাতে নিয়েছে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সম্পূর্ণ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা জানি, কয়লা পুড়ালে প্রচুর নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃসৃত হয়, যা আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
কিন্তু রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলেও সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিঃসৃত গ্যাস কে তরল করে নির্দিষ্ট মাত্রায় আনা হবে যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয়।
১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতার এই কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় ১দশমিক ৪৯বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন সম্ভব হবে।
এ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে খবর,মিডিয়া,সোসিয়াল মাধ্যমগুলোতে মানুষের দ্বিমতের শেষ নেই।
যে যার মতো ব্যাখ্যা দিয়েছে। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দ্বিমত পোষণকারী দল। সুন্দরবন রক্ষায় মিছিল, পত্রিকায় লেখা ইত্যাদি।
আপনিও কি চান বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না হউক?
রিছারচে বলে যে কোন ফরেস্ট এরিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এরিয়াকে ক্রিটিকাল এরিয়া বলে।
আর এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার। তো দেখা যায় যে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র টি স্থাপন হবে।
তাছাড়া বৈজ্ঞানিক ভাবে অসম্পন্ন ও বিজ্ঞান সম্মত নয় বলে জানানো হয়। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামগত উন্নয়ন চুক্তি বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে "সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি "।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি


পরিশেষে ডিজিটাল জগৎ ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন চুক্তি হলে ও এটি আমাদের দেশের প্রাণ তথা পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের জন্য হুমকিস্বরূপ ।
তাই আমি অবশ্যই চাইছিনা ডিজিটাল হওয়ার নেশায় এবং উন্নয়নের স্বার্থে ও যে আমার দেশের গৌরব এবং প্রকৃতির এই অদ্বিতীয় উৎস যাতে বিলিন হয়ে না যায়।

Written by: Tuhin.

মোশন সেন্সর লাইটের কার্যকারিতা এবং এর ব্যবহার

আমরা সবাই কমবেশি অনেক ধরনের লাইটের সাথে পরিচিত। ঘরে, অফিসে, রাস্তা ঘাটে সব জায়গায়ই অনেক ধরনের লাইট ব্যবহার হতে দেখি। কিন্তু মোশন সেন্সর লাইটটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই পরিচিত না। তাই প্রথমেই আমরা মোশন সেন্সর লাইট সম্পর্কে পরিচিত হয়ে নেই ।

মোশন সেন্সর লাইট কি?

মোশন সেন্সর লাইট সম্পর্কে জানার আগে আমরা মোশন এবং সেন্সর কি, তা জেনে নেই। তাহলে আমাদের বুঝতে 
সুবিধা হবে। মোশন (Motion) শব্দের আবিধানিক অর্থ হচ্ছে গতি, চলন বা বেগ। আর সেন্সর (Sensor) শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে সংবেদন, তাহলে আমরা বলতে পারি গতির সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে যে লাইট ব্যবহার হয় তাকে মোশন সেন্সর লাইট বলে। তাহলে আমরা এখন নিশ্চয়ই মোশন সেন্সর লাইট সম্পর্কে ধারনা পেয়ে গেলাম।
এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, জীবনে কতো রকমের লাইট ব্যবহার করলাম এবং লাইটের ব্যবহার দেখলাম, কিন্তু এই লাইটের ব্যবহার কি হতে পারে? তাহলে চলুন আমরা এখন এর কাজ এবং কি কাজে ব্যবহৃত হয় এই সম্পর্কে জেনে নেই ।

মোশন সেন্সর লাইট কিভাবে কাজ করে?

মোশন সেন্সর লাইট বর্তমান প্রযুক্তির একটি অন্যতম আবিস্কার । এই লাইটটি ব্যবহৃত হয় শরীরের তাপ এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ব্যবহার করে। তাই বলা যায় এটি খুবই নির্ভরযোগ্য একটি প্রযুক্তি । আমি একটি বাস্তব উদাহরণ দেই, তাহলে আপনাদের সবার বুঝতে সুবিধা হবে। আপনার অনেকেই দেখেছেন কারও বাড়িতে বা অফিসে প্রবেশ করার সময় অন্ধকারের মধ্যে হটাত করে দুই,একটি লাইট স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বলে উঠে, মূলত এই গুলাই মোশন সেন্সর লাইট । আশাকরি লাইটটির কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের একটি ধারণা চলে হয়ে গেছে। এই লাইটগুলা কাজ করে অনেক গুলা প্রযুক্তির মাধ্যমে ।

মোশন সেন্সর লাইটের ব্যবহারঃ

এই লাইটটির বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে । লাইটটি প্রধানত ব্যবহৃত হয় নিরাপত্তার কাজে। কারণ যেকেউ এই লাইটের আওতায় চলে আসলে সেন্সর তা ধরতে পারে এবং সাথে জ্বলে উঠে, ফলে চোর ডাকাত ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবে।
এছাড়াও এই লাইটটি আপনি আপনার ঘরে বা অফিসে ব্যবহার করতে পারবেন। লাইটটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়, কারণ যখন আপনি রুমে প্রবেশ করবেন, তখনই লাইটটি জ্বলবে। ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ নাই। এই লাইটটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বলে বিধায় সুইচের ঝামেলা নাই, তাই অন্ধকার ঘরে কষ্ট করে সুইচ খোঁজার প্রয়োজন হচ্ছেনা।

উপরোক্ত ব্যবহার ছাড়াও এই লাইটটি আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা যাবে ।
written by Juned Zaman

Tuesday, December 13, 2016

Social support for breast cencer patients

Breast cancer survivors with good social support networks seem to live longer and to have a lower risk of their cancer returning, according to a new study.

In earlier research, the study's lead author had found that women with few social ties before a breast cancer diagnosis were at an increased risk of death from the malignancy.

"I wanted to do this study in a large cohort of women to try and replicate the findings I generated a decade ago," said Candyce Kroenke, of Kaiser Permanent Northern California Division of Research in Oakland.
For the new study, published December 12th in Cancer, the researchers analyzed data collected from 9,267 women in the United States and China within two years of their breast cancer diagnosis.
In addition to other information about the women, the researchers had data on their relationships with spouses and friends and their ties to religion, society and community.
Altogether, over about 11 years, there were 1,448 recurrences of breast cancer and 1,521 deaths, including 990 deaths due to breast cancer.
Women with few social connections had a 43 percent higher risk of breast cancer returning, compared to well-connected women, the researchers found.
Similarly, isolated women were 64 percent more likely to die from breast cancer and 69 percent more likely to die of any cause during the course of the study, compared to their counterparts with many social ties.
The links between social isolation and poor outcomes were strongest among women without advanced cancers.
Kroenke said the types of relationships that appeared to be important to women's health varied.
For example, not having a spouse or partner and having few community ties was associated with an increased risk of death from breast cancer among older white women, but not other women.
The study can't say why large social networks may help protect women's health. Kroenke said it could be related to a number of factors, including lifestyle, social support and physiology.
"It’s something we’re hoping to explore in the future," she said.
Doctors are increasingly recognizing social determinants of health are important, said Kroenke. They should be aware of women's social ties and support, and whether there is something clinically that can be done to support patients.
"Women who are going through breast cancer should get the support they need and ask for help," she said...

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

14 Dec 2016

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন তারপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা এবং কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। ছিলেন ১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার মীরপুরে অবস্থিত। স্মৃতিসৌধটির স্থপতি মোস্তফা হালি কুদ্দুস। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের বহুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তাদেরকে মিরপুর এলাকায় ফেলে রাখে। সেই সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সেই স্থানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এ সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নাম জানা ও না জানা বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। স্থপতি মো. জামী-আল সাফী ও ফরিদউদ্দিন আহমেদের নকশায় নির্মিত এ স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ ডাকবিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। অবশ্য, ২৫ মার্চ ১৯৭১ কলো রাতেই শুরু হয় বুদ্ধিজীবীদের নিধন। পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিজীবী নিধন করা হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এইদিনকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’(১৯৯৪) থেকে জানা যায় , ২৩২ জনের কথা । কিন্ত এটি যে অসম্পুর্ন তা’ ওই গ্রন্থেই স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১৮ ,মতান্তরে ২৯ তারিখে বেসরকারীভাবে গঠিত ‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’এর রিপোর্ট ও আলোর মুখ দেখেনি। এরপর “বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি” গঠিত হয়। এই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো হত্যাযজ্ঞ চলেনি। কারণ ফরমান আলীর টার্গেট ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা। বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত গেনেছে। উল্লেখ্য,ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচিচত্রকার জহির রায়হান যিনি নিখোঁজ হন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত তাজউদ্দিন আহমেদ একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেন ১৯৭১ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর । কিন্ত ,তার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। “আর একটা সপ্তাহ গেলেই ওরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের সবাইকেই মেরে ফেলত- আল বদর বাহিনীর মাস্টার প্ল্যান”---- ‘দৈনিক আজাদ ১৯৭১ সালের ২৭ ডিসেম্বর’ সেখানে লেখা হয়েছিল: পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সাহায্যকারী দলগুলির মধ্যে জামাতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্য। মওদুদী-গোলাম আযম-আবদুর রহীমের নেতৃত্বে পরিচালিত জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুধু ঘোর বিরোধিতাই করেনি- লক্ষ লক্ষ বাঙালীকে পাইকারীভাবে হত্যা করার কাজে সক্রিয় সহযোগিতাও করেছে। এরাই আর একটা সপ্তাহ গেলেই ওরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের সবাইকেই মেরে ফেলত।



Saturday, December 10, 2016

Ethnic Groups of Bangladesh





There are many  different types of ethnic group in Bangladesh. They help to make our society very diverse. We can overview some ethnic groups are below:

1)      The Chakma: They are the largest ethnic group in Bangladesh. Majority people of Chakma are living in Rangamati & Khagrachari.  And religions of them are Buddhist. They have own language, alphabet and own culture. They ruled by a local king. Every villages have own chives. Their houses are made of bamboo, wood. Their agriculture is based on the “JHUM” method. Their main food is rice. The Chakma weave the cloths on looms. Man and boys wear “fatua” and “lungi” other side women wear “pinon” and “hadi”. The Chakma observed all the main Buddhist festivals. Specially  Buddha Pornima in the first month of Bangla year named “Baishakh”






Chakma House
Weaving
2)  The Marma: The 2nd largest ethnic group after the chakma. They live in the Banderbans, Khagrachari and Rangamati. They eat rice, boiled vegetables and dried fish called “Nappi”. They are also plants by the “JHUM” method. In the past man wore “Thami” and woman wore “Angi” but they often wear modern dress as well. The Marma celebrate all the “Buddhist festivals. They also celebrate water festival”Shangrain” which is the 2nd day of the bangla new year.



   


Shangrain Festival







3) The Saontal:  The Saontal are live in west side of Bangladesh specially Dinajpur, Rangpur, Rajshahi and Bogra. They have own language. They eat rice, fish meat and vegetables. Their especially “Nalita” or jute leaves as a native dish. Women wear “Panchi” and “Parhat” and men used to wear “Duthi” now days they wear “Lunghi” shirt. There are five Saontal  festivals around the year.  “Sohrai” festival is celebrated during the month of bangla Poush month, “Hariar Sim” giving an offering for the corps. During Vadro month. Dancing is the main occupation.
                                                           Saontal Dancing


4)      The Monipuri:  The Monipuri live mainly in Sylhet. They also live in Komolgonj, Moulovibazar and Manipur state of India. They have two own languages. Their houses made of bamboo, brick or tin. They eat rice, fish and vegetables. But do not eat meat.”Sincheda” is the favorite salad-dish. Women wear a “lahing”, an “Ahing” and a scarf. The man wears duthi and Panjabi. They have many festivals Rathajatra, Doljatra, Rash-Purnima etc.



Monipuri House
Monipuri dance


Wednesday, December 7, 2016

There will be NO Ratargul Swamp Forest within 5 years!!

Ratargul Swam Forest

If the present situation of Ratargul Swamp Forest continues, then it will vanish from the Map of Bangladesh within 5 years. The layers of “Hizol” and “Khoroch” are on the way of extinct. Wildlife are also in danger.

Tourists have a full access to the all parts of the forest easily, they play sounds in mikes in high volume inside the forest, they throw packets, bottles, papers in the water which pollutes ...the water and is a barrier to the living of many rare fishes. The animals, and the rare plant species of the forest are minimizing day by day. There is a 5 storied watch tower inside the forest, here many tourist come everyday. The local people said, it has been a great tourist attraction and it is harmful for the forest conversation. Moreover, the watch tower is very risky, the infrastructure is not very strong. It could collapse at any time. If it happens there will be a great harm to the the human lives and the ecosystem as well. 



Every one are enjoying this forest in the rainy season
The environmentalists say that, the initiative of forest department to make the plantation of “jalibeth” will lead to the immense destruction of the forest. The illegal encroachment of the forest have minimized its area. In 1973 the area was 504 acres, but now the area is 325.6 acres. And the rate is still ongoing. If this scenario continues, we will lost our Ratargul Swamp Forest within a few years. So as this is our national property so its our duty to protect this forest.


Though it is a reserved forest but the forest department are like very careless for the reservation of this swamp forest. They are not doing their jobs properly. Ecosystem has been disturbed. Seems like steps taken for the reservation are converted to the destruction of the forest later.
So I tried to pointed out some initiative to protect the Ratagul Sawmp forest from being extinct:

  •  A proper plan should be taken into account to protect the forest.
  •  Government as well as many NGO’s or organizations should come forward to protect the forest.
  •   All the parts of the forest should not be accessible.
  •  There should be a strict rules for the tourist who wants to visit the forest.
  •  Tourist visiting hours should be from 3:00 to 6:00
  • To shout or play song in high volume inside the forest should be banned.
  •  Illegal encroachments should be stopped from the forest.
  •  Fishing inside the forest should be banned.
  • The watch tower should be closed for good.
  • Local people should be engaged in the conversation activities.


It's call 'watch tower', from where the forest is beautifully seen.

 



There is only four sawp forest is the south asia. Ratargul is one of them. So it’s a matter of pride for us. Its our duty to save Ratargul Swamp Forest. People from all sector should come forward to make the reservation of the forest successful.